সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এবং সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের সতীর্থ ডিরেকটর দেবযানী বন্দ্যোপাধ্যায় এর সমস্ত সম্পত্তি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বাজেয়াপ্ত করল। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় সারদা থেকে পাওয়া টাকা গত বছর ইডিকে ফেরত দিয়েছিলেন। এবার নির্বাচন চলার সময়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সারদা থেকে পাওয়া টাকা ইডিকে ফেরত দিয়েছেন। তার পরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। কুণাল ঘোষের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে আনুমানিক 3 কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শতাব্দী রায় তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূমের সাংসদ। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। সারদার থেকে মোটা টাকা তিনি নিয়েছিলেন। সিবিআই ও গোয়েন্দারা এই কারণে শতাব্দী রায় কে আগেই জেরা করেছেন। তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সারদার মিডিয়া গ্রুপ এর সিইও ছিলেন। তিনি মাসে সারদার সংস্থা থেকে কমবেশি 16 লক্ষ টাকা বেতন নিতেন। সিবিআই কুণালকে জেরা করার আগেই রাজ্যপুলিশ চিটফান্ড কান্ডে গ্রেফতার করেছিল। তার পরে কুনাল ঘোষ সাড়ে তিন বছর জেল খেটেছেন। পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শতাব্দী রায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে চর্চা শুরু হয়েছিল। তারপরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছিলেন শতাব্দী রায়। সেখান থেকে বেরিয়ে শতাব্দী দাবি করেন তিনি তৃণমূলেরই রয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় সংস্থার এই পদক্ষেপে চর্চা শুরু হয়েছে।