উনি কংগ্রেস ছেড়ে এসে গদ্দারি করেননি? ওর মুখে এই কথা মানায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাউকে গদ্দার বলার কোনো অধিকার নেই। একটা সময় নিজের জীবন বাজি রেখে শুভেন্দু অধিকারী ও তাদের পরিবারের লোকজন তৃণমূলকে নন্দীগ্রামে জিতিয়েছে। এখন তারা গদ্দার হয়ে গেল। অধিকারী পরিবার একটা সময় তৃণমূলের জন্য অনেক কিছু করেছে। তার বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি করেছেন। যে সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম থেকে তার উত্থান হয়েছে সেখানে গত 10 বছরে কতবার এসেছেন। এখন নির্বাচনে নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে। নন্দীগ্রামের মানুষ আন্দোলনের সময় ওর পাশে ছিল। সেখানে উন্নয়নের কথা ওর মনে পড়েনি। ভোটের বাজার ধরতে এখন বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। নন্দীগ্রামের মানুষ 1 এপ্রিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে জবাব দেবে। এই কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলীয় জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী শিশির অধিকারীদের গদ্দার বলে কটাক্ষ করছেন। মেদিনীপুর কে ভালবেসে ফেলেছিলাম। অনেককে একটা সময় এখানে ভালবাসতাম। কাছে টেনে নিয়ে ছিলাম। বুঝতে পারেনি সেই গদ্দার মীরজাফররা পিছন থেকে ছুরি মারবে। গদ্দারি করে পালিয়ে এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। গদ্দার মীরজাফরের দল চলে গিয়ে ভালোই হয়েছে। তৃণমূল বেঁচে গিয়েছে বলেন মমতা। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ এই কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বিজেপির নেতা কে ফোন করে বলছেন আমাদের সহযোগিতা করে দাও। আবার গদ্দারির কথা বলছেন। সেটা ওর মুখে মানায় না। আমরা অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোটের পক্ষে। মানুষকে বলেছিলাম কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। আপনারা ভোট দিন। মানুষ ভোট দিয়েছে অবাধে। বিজেপির জয় এবার নিশ্চিত। মানুষ আর তৃণমূলকে পাত্তা দিচ্ছে না। তৃনমূল কাউকে ভয় দেখাতে পারছে না। বুথের বাইরে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। সবকিছু ছাপিয়ে জয় হয়েছে মানুষের। মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন এটাই বড় কথা। রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন দেখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই কথা বলেন।