Rajib Ghosh– একটা বিষয় বোধগম্য হলো না। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি নিজে স্কুটিতে চড়লেন। কিন্তু তার সঙ্গে এতগুলো বাইক, দীর্ঘক্ষন ধরে রাস্তা ফাঁকা করে রাখা, এটা কি কোনো প্রতিবাদ? প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জানাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্কুটিতে করে নবান্নে যান। সেখানে পৌছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বড় আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেন, প্রতিবাদ তিনি করতেই পারেন। কিন্তু যেভাবে তিনি এটা করলেন তাতে মনে হলো প্রেস মিডিয়াকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এটা তিনি করলেন। যদি সত্যিই বাংলার মানুষের জন্য কিছু করার থাকে রাজ্য সরকার পেট্রোল-ডিজেলের উপরে যে বিরাট পরিমাণের জিএসটি আদায় করছে প্রায় 36 টাকা মতন সেখান থেকে এক টাকা কমিয়ে লাভ নেই। পুরোটাই তিনি ছেড়ে দিন। শুধু প্রেস মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই স্কুটি যাত্রা করা ছাড়া আর কিছু আছে বলে মনে করি না। এক প্রশ্নের উত্তরে রাজীব বলেন, উনি বলছেন বাড়ির মেয়েকে কয়লা চোর বলা হচ্ছে। কিন্তু এখনো তো তাকে কেউ চোর বলেনি। তাকে একটা নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কিছু তথ্য জানার জন্য। তার আগেই উনি বলছেন কেন? এটাতো ভাড়ার ঘরে কে আমি তো কলা খাইনি এই ধরনের। বাংলার শিষ্টাচার উনি যেভাবে নষ্ট করছেন তাতে বাঙালি হিসেবে আমরা লজ্জিত হচ্ছি। বিজেপি যেভাবে বাংলার মা-বোনেদের সম্মান দেয় উনি দেন না বলেই জানি। প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে যে ধরনের মন্তব্য করছেন সেটা কে বাংলার শিষ্টাচার বলে না। যদি কেউ অন্যায় না করে থাকে তাহলে সে ভয় পাবে কেন? সি এ এ নিয়ে তৃণমূল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। এই আইনে নাগরিকত্ব কাড়ার কোনো বিষয় নেই। নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যারা এদেশে এসেছে তারাই নাগরিকত্ব পাবেন। শুধুমাত্র ভোটের মুখে এই ধরনের ইস্যু তোলা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয় নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। এই কথা জানালেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।