নিজস্ব সংবাদদাতা: বেশ বেসুরো শোনাচ্ছে বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিজেপির বিরুদ্ধে আক্ষেপের সুরই ভেসে আসছে তার গলা থেকে। এদিনও আমাদের মুখোমুখি হয়ে সেই ক্ষোভই প্রকাশ করলেন জয় ব্যানার্জি।
বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের টিকিট দেওয়ারও সমালোচনা করেছিলেন তিনি। তিনি কি ‘রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কতগা ভাবছেন?’, সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল তাকে। তার উত্তরে জয় জানিয়েছিলেন, তিনি প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের কথা চিন্তা করছেন। এদিনও সেই বিষয়টিই জোর দেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, “কে প্রার্থী তালিকা নির্বাচন করল তা তদন্ত করে দেখা উচিত। কিভাবে ১৪ সালের জয়ী দল, এই ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত নিল, তা জানা উচিত মোদি জি, অমিত জি, নাড্ডা জির। আমি তো বলবো সিবিআই দিয়ে তদন্ত করা উচিত”। একই সাথে তিনি বলেন, “রাজীবের যোগদানের পর আমি অমিত শাহকে বলেছিলাম, এ কাদের নিচ্ছেন। তাদের দলে স্থান দিন, যারা বাংলার মানুষের আবেগ বোঝে। যারা বাংলার মানুষকে ঠিক করে চেনেই না, তাদেরকে রাজ্যপাটের দায়িত্ব দেবেন না। কিন্তু উনি আমার কথা শোনেননি”।
অভিনেতার কথায় এই ‘৭৭-এর দল’ তাদের নিজেদের ভাগ্য নিজেরায় কাঁটাছেড়া করছে, যন্ত্রণা তো হবেই।
উল্লেখ্য, জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদীকে দেখে। ভোটে সিপিএম, তৃণমূলের হয়ে কাজ করলেও সক্রিয় রাজনীতি করছেন বিজেপিতেই। মাঠে, ময়দানে তাঁর ডায়লগ বেশ জনপ্রিয়ও বটে। এহেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় পরপর দুবার লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০১৪-তে তিনি লড়াই করেছিলেন বীরভূম থেকে। বিপক্ষের প্রার্থী ছিলেন শতাব্দী রায়। কিন্তু হেরে গিয়েছিলেন। আর ২০১৯-এর তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন উলুবেড়িয়া থেকে। হেরেছিলেন তৃণমূলের সাজদা আহমেদের কাছে। কিন্তু এবছর অসুস্থতা এবং নতুন মুখের কারণে দলে সেই অর্থে উপস্থিতি পাচ্ছেন না তিনি। এবং সেই সব কারণেই জয়ের এই সুরবদল, বলে মত বিশেষজ্ঞদের।