নিজস্ব সংবাদদাতা: ১২ জুলাই নন্দীগ্রাম মামলার বেঞ্চ বদল হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন মেনে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কৌশিক চন্দ নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। বদলে বিচারপতি শম্পা সরকারের নেতৃত্বাধীন সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। এদিকে মামলার শুনানি শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্যে কোনও ত্রুটি রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়। তাতে দেখা যায়, নিয়ম মেনে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষের ৪৫ দিনের মধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরই নন্দীগ্রাম মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপর থেকেই নন্দীগ্রাম আসনটি নিয়ে অনেক বেশি হইচই শুরু হয়। ওই কেন্দ্র থেকে নিজেই ভোটে লড়বেন বলেই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির তরফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শুভেন্দু অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গত ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী ওই আসনে জিতে যান। তবে প্রভাব খাটিয়ে ওই ফল বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করা হয়।
প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে শুনানি শুরু হলেও মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তিতে তা থমকে যায়। বেঞ্চ বদলের পর সেই শুনানি শুরু হল ফের একবার।