নিজস্ব সংবাদদাতা: ভবানীপুরে ভোটার লিস্টে পিকের নাম এবং অভিষেকের বাড়ির ঠিকানা রয়েছে। এদিন ফের একবার সেই প্রসঙ্গে সুর তুললেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, “আমরা জানি উনি টিএমসির নেতা ছিলেন। এখানে নেতা হতে গেলে এখানে ভোটার হতে হবে। আমার মনে হয় সেই সময় হয়েছিলেন জানা ছিল না, এবারে জানা গেল। এখন উনি কোথায় সেটা একটা প্রশ্নের ব্যাপার”।
হাঁসখালীতে তিনজন বিজেপি কর্মী গুলি বিদ্ধ হয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিম বাংলায় যারা সমাজবিরোধী ছিল সিপিএম যাদেরকে ব্যবহার করত তারা এখন টিএমসির নেতা হয়েছেন। তারা পদাধিকারী, পঞ্চায়েত জেলা পরিষদ, সমিতির মেম্বার নির্বাচিত হয়ে গেছেন। তাদেরকে টিকিট দিতে হয়েছে তারা টাকা পয়সা খরচা করে বন্দুক দেখিয়ে গতবার জিতেছে। বাকিদের নমিনেশন করতে দেয়নি স্বাভাবিক ভাবে সারা পশ্চিমবঙ্গে রাজনীতিটা অপরাধীকরন হয়ে গেছে। খালি আমাদের তো মারছেই এছাড়াও টিএমসির মধ্যে এতো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। তাদের নেতারা মারা যাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেই কমপ্লেন। তাদের লোকেরাই বলছে পার্টির নেতারাই মেরেছে। এই যে অপরাধীকরন হয়ে গিয়েছে একসময় বিহারের মতো অবস্থা এখানে। কোথাও আইন শৃঙ্খলা নেই। পুলিশ কারো গায়ে হাত দেয় না আর এফআইআরও নেয় না। খুবই দুর্ভাগ্যের এবং খুবই দুশ্চিন্তার বিষয়। তাদের নেতাদের যে স্টেটমেন্ট আসে এই বিষয়ে সংঘর্ষে মারা যাচ্ছে, কেউ সন্ত্রাসে এবং তাদের প্রতি যে অবমাননা করে কথা বলছেন। রাজনীতির এই ধরনের পতন এটা টিএমসির হাত ধরে হচ্ছে”।
অধীর চৌধুরী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘পলিটিক্যাল জোকার’ বলেছেন। সেই প্রসঙ্গে এদিন অধীর চৌধুরীকেই একহাত নেন দিলীপ ঘোষ।