নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজনীতির অন্দরে এখন একটায় আলোচ্য বিষয়। বলা ভালো চর্চিত বিষয়। মুকুল রায়ের বিধানসভায় আসন বিভ্রাট নিয়ে এখন উভয় দলই একে অপরকে চোখ উঁচিয়ে দেখছেন। আর সবার মনে একটায় প্রশ্ন তাহলে মুকুল রায়ের স্ট্যান্ড পয়েন্টটা কি?
উল্লেখ্য, তৃণমূল নয়, বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গেই বসছেন সদ্য তৃণমূলে ফেরা মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের ক্রমিক সংখ্যা ৪২। ৪০ নম্বর আসনটি বরাদ্দ বিজেপির চিফ হুইপ মনোজ টিগ্গার জন্য। ৪১ নম্বর আসনে বসছেন মিহির গোস্বামী। ঠিক তাঁর পাশের আসনটিই রাখা হয়েছে মুকুল রায়ের জন্য।
এই নিয়ে অবশ্য তির্যক ভাষায় আক্রমণ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিধানসভায় পিএসি চেয়ারম্যানের পদ নিয়ে মুকুলকে এবার টার্গেট করলেন দিলীপ। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে মুকুলকে নিশানা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুকুল রায়ের মতো একজন নেতা, যিনি বিজেপির হয়ে জিতলেন। তারপর প্রকাশ্যে তৃণমূলে যোগ দিলেন। এখন নির্লজ্জের মতো আমাদের বেঞ্চে বসে আছেন। পিএসি চেয়ারম্যান হবেন বলে কি উনি ত্রিশঙ্কু হয়ে গেলেন?”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায়। মুকুলের দলবদল ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলে ফিরলেও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি মুকুল। এদিকে, বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদটি মূলত বিরোধীদের দেওয়া হয়। কিন্তু, ওই পদের চেয়ারম্যান করা হতে পারে মুকুল রায়কে। আর সেকারণে বিধানসভা বিরোধীদের বেঞ্চেই বসেন মুকুল। এ নিয়েই এবার মুকুল রায়কে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ।
বলা বাহুল্য, ২০১৬ সালে মানস ভুঁইয়াকে নিয়ে একই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তখনও বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল বিরোধীদের তরফে। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে মানস ভূঁইয়াকে এই পদে মনোনিত করা হয়। যদিও সেইসময় তৃণমূলে যোগদান করলেও খাতায়-কলমে তিনি ছিলেন কংগ্রেসের বিধায়ক। এরপর শঙ্কর সিংয়ের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। শঙ্কর সিং তৃণমূলে যোগ দিলেও কংগ্রেসের বিধায়ক হিসেবে থেকে যাওয়ায় তিনি পিএসির চেয়ারম্যান পদেই থেকে যান। ফলে সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে কিনা এই বর্তমান সময়ে এখন সেটাই দেখার।