কেশপুরে ভোট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আক্রান্ত রক্তাক্ত হয়ে বিজেপির মহিলা পোলিং এজেন্ট শাবিনা বেগম কে বুথ ছাড়তে হয়। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। সেই খবর পেয়েই বিজেপির প্রার্থী প্রীতিশ কুমার কেশপুরের 173 নম্বর বুথের সামনে পৌছন। তখন বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়। পোলিং এজেন্টকে মারতে মারতে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপরে বিজেপি প্রার্থীর গাড়ির ওপর ইট লাঠি লোহার রড নিয়ে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। সংবাদমাধ্যমের গাড়ির উপরে হামলা চালানো হয়। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ তৃণমূলের লোকজন সংখ্যালঘু মহিলা পোলিং এজেন্টকে পিস্তলের বাট দিয়ে পিটিয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথার পিছনের দিকে সেলাই পড়েছে। যখন সাবিনাকে তিনি গাড়িতে তুলে আনছিলেন তখন তার গাড়ি ঘিরে রাখা হয়েছিল। কোনোরকমে পালিয়ে এসেছি। পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখছে। বুথের কাছাকাছি কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোনো আধাসেনা কে দেখতে পাননি। কেউ মহিলা পোলিং এজেন্টকে সাহায্য করতে আসেননি। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট তলব করেছে। তিনি আরো বলেন এই ছবি বাংলার মানুষ দেখেছেন। তারাই বলুন। ভোট শুরুর আগে বুধবার রাতে কেশপুরের 4 নম্বর গোলার অঞ্চলের তৃণমূল কর্মী উত্তম দলুই কে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী শিউলি শাহা বলেন বিজেপি কেশপুরে সন্ত্রাস করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সূর্য উঠতেই মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কেশপুরে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। নন্দীগ্রামে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ভোটে তারাই গুন্ডামি করে যাদের হেরে যাওয়ার ভয় থাকে। এদিন কেশপুরে দেখা গেল গুন্ডামি হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।