রাজ্যে প্রথম দফা নির্বাচনের দিন প্রকাশ্যে একটি অডিও আসা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়ে যায়। সেই ফোন কলের রেকর্ডও দুই প্রান্তে দুই ব্যক্তির কথোপকথন চলছিল। যার মধ্যে একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরেকদিকে ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা প্রলয় পাল। সেই অডিও টিতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতা প্রলয় পাল কে ভোটে সাহায্যের কথা বলছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব জানায় দলের পুরোনো কর্মী কে ফিরে আসার জন্য দলনেত্রী ফোন করতেই পারেন। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা প্রলয় পাল তার সঙ্গে মমতার কথোপকথনের এই রেকর্ডটি প্রকাশ্যে আনেন। প্রলয় এর সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে শোনা যায়। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বলতে শোনা যায় প্রলয় পাল যাতে নির্বাচনে তৃণমূল কে সাহায্য করে। তখন প্রলয় মমতার কাছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান। তিনি জানান যে দল তিনি করছেন তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না। এরপরে তাকে সিদ্ধান্ত ভেবে দেখার প্রস্তাব দেন তৃণমূল নেত্রী। এই বিষয় নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো মন্তব্য করেননি। এদিন নন্দীগ্রামে নির্বাচনের শেষ প্রচারের দিনে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন মমতা। তিনি জানান কি কারণে বিজেপি নেতা কে ফোন করেছিলেন। তার কাছে খবর ছিল প্রলয় পাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান। তাই ফোন করেছিলেন। টেঙ্গুয়া মোড়ের জনসভা থেকে মমতা বলেন, আমি শুনেছিলাম অনেকেই আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। তাই ছেলেটিকে নিজেই ফোন করেছিলাম। কি খারাপ বলেছি। ওকে বলেছি ভালো থেকো সুস্থ থেকো আর একটু ভেবে দেখো নিজের সিদ্ধান্তের কথা। প্রার্থী হিসেবে সবার কাছেই ভোট চাইতে পারি। এটা নিয়ে বিতর্কের কি আছে। তবে বিজেপি নেতা কে ফোন করার বিষয় নিয়ে রাজনৈতিকভাবে লাভ তুলতে চাইছে বিজেপি। যদিও নির্বাচনী প্রচারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে এদিন তার বক্তব্য বললেন।