নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থাশীল। ফলে চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে আসন্ন উপনির্বাচনে তৃণমুলকেই জয়যুক্ত করবেন সাধারণ মানুষ। সোমবার সন্ধ্যায় নদীয়ার শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী ডক্টর ব্রজকিশোর গোস্বামীর সমর্থনে ভোট প্রচার অভিযানে যোগদান করতে এসে শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়লাভ প্রসঙ্গে এই কথাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী তথা বিখ্যাত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু।
এছাড়াও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্কুল কলেজ খোলার বিষয় নিয়ে এদিন উত্তরবঙ্গ সফর থেকে মুখ্যমন্ত্রী যেই নির্দেশ দিয়েছেন সেই মতই কাজ হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি করোনা আবহে দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকা স্কুল-কলেজগুলিতে পঠন-পাঠন পুনরায় শুরু করতে ইতিমধ্যেই প্রচুরৎ পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও সম্প্রতিকালে ঘটে যাওয়া বাংলাদেশ হিন্দু নিগ্রহ প্রতিমা ভাংচুর সহ পূজামণ্ডপে অগ্নিসংযোগ ও ইসকন ভক্তদের হত্যা প্রসঙ্গে সাম্প্রদায়িকতার ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি কটাক্ষ করেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও সেখানেও কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় হিন্দুরা মন্ত্রীত্বের সম্মান পেয়েছেন। কিন্তু ভারতবর্ষে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় একজন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকেও মন্ত্রীত্বের আসনে বসাতে পারেনি দিল্লির ক্ষমতাসীন বিজেপি মনোনীত কেন্দ্রীয় সরকার। “বাংলাদেশে যেমন জামাত রয়েছে আমাদের এখানেও সেই রকম বিজেপি রয়েছে। সাম্প্রদায়িক মানুষজন সব জায়গাতেই রয়েছে। কিন্তু এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে রাজ্য চালানোর দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে প্রশাসনের উপর। এই রাজ্যে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন-বলেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আজও বজায় রয়েছে” বলেও দাবি করেন ব্রাত্য বসু।