নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রতারক সনাতন রায়চৌধুরী কাণ্ডে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদের একটি রসিদ পাওয়া গিয়েছে তার কাছ থেকে। এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। অন্যদিকে, বিজেপির কোন শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আর সেই বিষয়ে তথ্য চেয়ে বিজেপির কাছে চিঠি পাঠাবে পুলিশ বলেও ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে।
আর এবার সনাতন রায় চৌধুরী কান্ডে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি। এদিন হেস্টিংসে বিজেপি দপ্তরে আসেন বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি। সেই সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেই সময় এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলী বলেন, “তিনি কি করতেন বা কিভাবে ফেক আইডি বানাতেন এইসব কিছুই জানতেন না রূপা গাঙ্গুলি”।
পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, “কেউ বিজেপির সক্রিয় কর্মী হতেই পারেন। তবে সরকার যারা চালাচ্ছেন তাদের তরফে কি কোনো ভূমিকা নেই। তারা এতদিন কেন জানতেন না। সরকার থেকে যারা সার্টিফিকেশন দিচ্ছেন তাদের ভেরিফাই করে দেখার কথা। সার্টিফিকেশন দেওয়ার আগে তারা কি তদন্ত করে দেখেন নি। তারা কেন সার্টিফিকেশন দিয়েছেন?” এমনই প্রশ্ন তোলেন রুপা গাঙ্গুলি। তিনি আরও বলেন, “যে কোনো লোক যেকোনো পার্টির সক্রিয় কর্মী হতে পারেন। সরকারে যারা আছে তাদের থেকে কোনো সার্টিফিকেশন আছে কী ? যদি থাকে সেটা চিন্তার বিষয়। কারণ সরকার থেকে যারা সার্টিফিকেশন দেন সেক্ষেত্রে জানতেই হবে যে তারা ভেরিফাই করেছে কিনা”, বলেও মন্তব্য করেন রূপা গাঙ্গুলি।
ইতিমধ্যেই তথ্য সামনে এসেছে যে বিজেপি নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য সনাতন রায় চৌধুরীকে সার্টিফাই করেছেন। এই বিষয়ে রূপা গাঙ্গুলি বলেন, “কৃষ্ণাদি ওনাকে চিনে করেছেন কী না চিনে করেছেন আমি জানিনা। কিন্তু কৃষ্ণাদির হাতে কাউকে যাচাই করার মত কোনো ক্ষমতা ছিল কী? বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে তাকে সার্টিফাই করা হয়েছে”। “আর কৃষ্ণাদির সঙ্গে পরিচয়ের বাইরে উনি গিয়ে কী ফেক আইডি তৈরি করতেন। সেটা কী কৃষ্ণাদির পক্ষে জানা সম্ভব। তাই, চেনা পরিচয় তো যে কারও সঙ্গে যে কারও থাকতে পারে। কিন্তু সে তার বাইরে গিয়ে কী করছে কী ভাবে জানা সম্ভব?” এদিন এমনই প্রশ্ন তুলে দেন বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি।