নিজস্ব সংবাদদাতা: মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, গরু, কয়লা পাচারে কাউকে রেওয়াত নয়। পুলিশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কোনটায় হচ্ছে না। এদিন এমন ভাবেই তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তার কথায়, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের মদত রয়েছে এই পাচার চক্রে। কলকাতায় বসে তা সামলানো সম্ভব নয়।
এদিন নবান্ন অভিযান নিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সরকার অনুদান ভোগী সমাজ গড়েছে৷ ভিক্ষাপাত্র নিয়ে মানুষকে ঘুরতে বাধ্য করছে। ৫ লক্ষ সরকারি পদ বিনষ্ট করা হয়েছে। চাকুরিপ্রার্থীরা রোজ রাস্তায় নামছে৷ আজ যেভাবে নবান্ন অভিযানে মহিলাদের যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, সাম্প্রতিক নজির নেই। এমনকি, মালদহে মানুষ পদপিষ্ট হলেন, দুয়ারে সরকারের ফর্ম নিতে গিয়ে। ১০০ দিনের কাজে পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বর, তা বুঝিয়ে দেয় রাজ্যের আর্থ সামাজিক অবস্থা। একটা সামাজিক প্রকল্প নিতে মানুষের যে ভিড়, তা প্রমাণ করে রাজ্যের অবস্থা কি!”
শিশুস্বার্থে লোকাল বন্ধ। এদিন সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শমীক বাবু বলেন, “তৃণমূলের বক্তব্যের যুক্তি প্রতিক্রিয়া দেওয়া কঠিন। শিশুর পিতা ট্রেনে উঠলে করোনা হবে৷ কিন্তু মা দুয়ারে সরকারের হাজার জনের সঙ্গে ক্যাম্পে গেলে করোনা,হয় না!”
এদিন পেগাসাস নোটিশ প্রসঙ্গে শমীক বাবু বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে নোটিশ দিয়েছে, বিচারবিভাগীয় বিষয়ে তদন্ত কমিটি কেন? এটা আইনি বিষয়। আমরা এটা নিয়ে কিছু বলছি না”।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছে রাজ্যের প্রতিনিধি দল। এদিন সেই বিষয়ে শমীক ভট্টাচার্য্যের প্রতিক্রিয়া, “আনন্দের কথা। বিজেপি পরিষদীয় দল রাজ্য সরকারের পাশে আছে। আমাদের সাথে নিয়ে চলুক। কিন্তু রাজ্য সরকারের রাজনীতির ইচ্ছা বেশি। কেন রাজ্য সরকার ১৯৫৫ থেকে করতে পারল না। কেন এই অবস্থা জানা উচিত। পশ্চিমবঙ্গে খাল কাড়াকে নিয়ে উদয়নারায়ণপুর ও মালদহে কী অবস্থা”