নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের গণতন্ত্র নিয়ে সকালেই প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বেলা গড়াতেই তার পালটা জবাব দিলেন জনাব ফিরহাদ হাকিম। বললেন, “পশ্চিমবঙ্গ গণতন্ত্রের পীঠস্থান। এখানে অগণতান্ত্রিক উপায়ে কোন কিছুই হয় না”। এদিন এমনই মন্তব্য রাখলেন কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
এদিন তিনি জানান পশ্চিমবঙ্গে অগণতান্ত্রিক উপায়ে কোন কিছুই হয়না।কোনটা অগণতান্ত্রিক উপায়ে বিজেপির উপর আরোপ করা হচ্ছে। এবিষয়ে প্রসঙ্গ স্বরূপ তুলে ধরেন রাকেশ সিংয়ের কথা। তিনি জানিয়েছেন, “রাকেশ সিংয়ের কোকেনসহ গ্রেফতার হওয়া এবং তারই দলের এক মহিলার গাড়িতে কোকেন রেখে দেওয়া সেই মহিলা নিজেই স্বীকারোক্তিতে তা জানিয়েছেন”। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন চাকরি দেওয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করা কোনটা গণতান্ত্রিক উপায়ে বিজেপি কাজ করছে।
অন্যদিকে তিনি জানিয়েছেন, “নির্বাচনের সময় বিজেপি যে টাকা খরচা করেছিল তা নিজেদের মধ্যে অনেকেই নিয়ে নিয়েছে”। যদিও তাদের নিজেদের ব্যাপার বলেও উল্লেখ করেছেন ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, “এই কঠিন পরিস্থিতিতে তৃণমূল সরকার রাজ্যের জন্য অনেক কাজ করছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কি কাজ করছে তার প্রমাণ হাতেনাতেই পাওয়া যায়। যার জন্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় উত্তরপ্রদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের অভাব দেখা গিয়েছিল। গঙ্গায় লাশের পর লাশ দেখা গিয়েছিল। তাই এর থেকে প্রমাণিত হয় রাজ্য না কেন্দ্র কে ভালো ভাবে কাজ করছে”। তাই তৃণমূল সরকার গণতান্ত্রিক উপায়ে সব কাজ করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন “দুয়ারে সরকারের মধ্য দিয়ে সাধারন মানুষের অনেক উপকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেওয়া হয়েছিল। এবার দুয়ারে সরকারের মধ্য দিয়ে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ও লক্ষীর ভান্ডার এই স্ক্রিম গুলো চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হবে। লক্ষীর ভান্ডার এর মাধ্যমে সাধারণ গ্রামবাংলার মহিলারা অনেকেই উপকৃত হবেন। অন্যদিকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের পছন্দমতো বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন এবং পরবর্তী সময়ে চাকরি পেয়ে সেই টাকা তারা মিটিয়ে দিতে পারবেন” বলেও উল্লেখ করেছেন।