নির্বাচনের দিন নন্দীগ্রামে বেশকিছু বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি তৃণমূল। তৃণমূলের বুথ এজেন্ট কে আধা সামরিক বাহিনী এবং পুলিশের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তার মা ছেলেকে বাড়ি থেকে বের হতে দিলেন না। বিজেপি প্রার্থী সুভেন্দু অধিকারি দাবি করেন, নন্দীগ্রামে অন্তত 100 বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিতে পারেনি। এদিন কেশপুর ডেবরায় লাগাতার অশান্তির ঘটনা ঘটে। তবে তেমন ছবি নন্দীগ্রামে দেখা যায়নি। মোটের উপর ভোট চলেছে শান্তিপূর্ণভাবে। নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। তিনি বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সেই বাড়িতেই ছিলেন। বাড়ি থেকে বের হন নি। শুভেন্দু কখনো বাইকে কখনো গাড়িতে চেপে বুথে বুথে ঘুরেছেন। ভোট শুরু হওয়ার পরেই তিনি দাবি করেন মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিচ্ছেন। বুথের বাইরে লম্বা লাইন তার প্রমাণ। মহিলাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিচ্ছেন। তুষ্টিকরণের রাজনীতিকে পরাস্ত করতে চাইছেন তারা। নন্দীগ্রামে বেগম হারছেন। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান কে দেখা যায় থানায় ছুটছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে এদিন বচসায় জড়িয়ে পড়েন সুফিয়ান। রাজ্যে বাম জমানায় তৃণমূল বহু বুথে এজেন্ট দিতে পারতো না। আবার তৃণমূলের জমানায় অনেক জায়গায় বিরোধী এজেন্ট সাহস করে বসতে চাইতো না। এদিন নন্দীগ্রামে তার উল্টো ছবি দেখা গিয়েছে।