সমস্ত রেলস্টেশন গুলোতে ক্যাম্প থাকবে। সুসজ্জিত ভাবে প্রচুর মানুষ আসল পরিবর্তনের লক্ষ্যে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি করার লক্ষ্যে ব্রিগেডে আসবেন। এই কথা বললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এদিন পাঁশকুড়ায় দলীয় সভায় বক্তব্য রাখেন। সেখানে খেলা হবে স্লোগান বাংলাদেশের বলে জানান। ওই স্লোগান দেওয়া হবে না। বন্দেমাতরম ধ্বনি দেওয়া হবে। শুভেন্দু বলেন, পাঁশকুড়াতে যখন আমি আসিনি তখন কোনো ভোটে জিততে পারেনি। আমি আসার পরে জয়লাভ হয়েছে। এদের বাহাদুরি সব জানা আছে। 2 মের পরে কিছু থাকবে না। পশ্চিমবঙ্গে চারিদিকে গেরুয়া পদ্মফুল আর নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত হয়েছে। তাই রাজ্যের উন্নয়ন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন বাংলায় উন্নয়ন হচ্ছে না। তার কারণ এখানে কাটমানি তোলাবাজি সিন্ডিকেট রাজ রয়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে একমাত্র দিল্লি এবং কলকাতার সরকার ছাড়া উপায় নেই। এরপরে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নেই। পুলিশের রেশন নেই। প্রাণী মিত্রদের দেড় হাজার টাকা বেতন সহ একাধিক অভিযোগ করেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন করে বিজেপিকে আনাই সমাধানের রাস্তা বলে জানান শুভেন্দু। এরপরে তিনি বলেন, তিন কোটি মানুষের টাকা প্রতারণা করেছে চিটফান্ড গুলো। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে এই চিটফান্ডের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। একেবারে নিচ থেকে উপরে তুলবো। লোকসভা নির্বাচনে সেই এলাকার চারটি জায়গায় ভোট করতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাতে চুপচাপ পদ্ম ছাপ করে দিয়েছেন। এরপরে শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা বেরিয়েছে। সায়নী ঘোষ নামে একজনকে প্রার্থী করেছে সে কি বলেছিল সেটা আমার মুখ থেকে বেরোবে না। বাবা মহাদেবের শিব লিঙ্গের ওপরে এমন একটা খারাপ কথা বলেছে আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। মুখ‍্যমন্ত্রী বলছেন বিষ্ণু মাতা। এইবার প্রস্তুতি নিন। পশ্চিমবঙ্গ মোদিজীর হাতে দেব। আজকের প্রার্থী তালিকা দেখে বুঝে নিয়েছি 16-0 কাজ শেষ। সবার জন্য পশ্চিমবঙ্গে শিল্প চাই কৃষি চাই উন্নয়ন চাই। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র চাই। সবাই মিলে জোট বাঁধুন। আমরা পরিবর্তন করব। এর পরেই তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে দাঁড়াচ্ছেন। ওয়েলকাম। নন্দীগ্রামে মানুষ আওয়াজ তুলেছে। মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র কে চাই। বহিরাগত নয়। নন্দীগ্রামের তিনজন তৃণমূল নেতাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। নন্দীগ্রামের মানুষের যাই হোক এরা নিরাপদে থাকুক। তুষ্টি করন এর অভিযোগ করেন তিনি। এদিনের সভায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।