যেভাবে একটা সাংবিধানিক সংস্থা কে আক্রমণ করা হচ্ছে যেভাবে বর্ষিয়ান নেতারা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করছেন যেভাবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করা হচ্ছে একটা ঘটনাকে বিকৃত করে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মনোনয়ন পেশ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান ও স্মৃতি ইরানির বক্তব্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে মানুষের আবেগ লক্ষ্য করলে স্পষ্ট হচ্ছে তাদের সেই চেষ্টাকে নন্দীগ্রামের মানুষ প্রতিহত করবেন। এই কথা বললেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুতর চোট পান। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কমিশনে অভিযোগ করা হয়। সেই প্রসঙ্গে শমীক আরো বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। বহু সাংবাদিকের সামনে তাদের দলীয় কর্মী সমর্থকদের সামনে কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে তার খুব সহজে সেখান থেকে ফিরে যাওয়া সহজ নয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এই ধরনের আচরণের কারণে রাজ‍্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই বিজেপির। নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হবার পর বিজেপির পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী কে প্রার্থী করা হয়। তারা চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী মনোনয়ন পেশ করার পরে কর্মীদের উচ্ছ্বাস উন্মাদনা দেখা গিয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট নন্দীগ্রামের চেয়ার শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির জন্যই রাখা থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী ভিডিওবার্তায় তার কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছেন। আমরা তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। নির্বাচনী প্রচারে তার বর্ণময় উপস্থিতি নিঃসন্দেহে অন্য মাত্রা যোগ করবে। মুখ্যমন্ত্রীকে বাইরে রেখে নির্বাচনী যুদ্ধ সম্পূর্ণ শ্রীহীন হয়ে পড়বে। আমরা চাই তিনি নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিন। রাজনৈতিক আক্রমণ করুন। মুখ্যমন্ত্রী তার অবস্থান বদল করে কর্মীদের শান্ত হওয়ার কথা বলছেন। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিজেপিকে জড়িয়ে আক্রমণ করছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে শমীক বলেন, উনার যে রাজনৈতিক ইতিহাস। উনি যে কর্পোরেট রসে স্নাত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যে অস্থির পদচারণা ছিল আজকের বিবৃতির সঙ্গে মিলছে না। এরা উত্তর প্রদেশ বিহার ঘুরেছেন। এরা ঘুরছেন। আর মানুষের হাতের চাকা ঘুরছে। বিজেপির ভোট বাড়ছে। পশ্চিমবঙ্গের চারটি দল এক সঙ্গে লড়ছে। তৃণমূল সিপিএম কংগ্রেস এবং ভাইজানের পার্টি। প্রার্থী তালিকা থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সবকিছুতেই চারটি দল ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করছে। তারপরেও পারছেন না। এরপরে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এক কথা চক্রান্তের তত্ত্ব বারবার বলে কিছু হবে না। বিজেপির যোগদান মেলায় দলে দলে তৃণমূল থেকে এসে যোগদান করছেন। মঞ্চে জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করে এই কথা বলেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।