নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে কি তবে যোগাযোগ রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের? তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের তোলা প্রশ্নে এখন এরকম ভাবেই সরগরম রাজনীতি। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে একাধিক ছবি প্রকাশ করেছেন সাংসদ। যেখানে দেখা গিয়েছে, দেবাঞ্জন দেবের দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্য, যিনি কিনা প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ান, রাজভবনে রাজ্যপালের পরিবারের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। এমনকী, দেহরক্ষীর হাত দিয়ে বিশেষ খাম রাজ্যপালের কাছে যেত বলেও অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। সেই ছবি দেখিয়েই তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন,“একজন প্রতারক কীভাবে রাজভবনে ঢুকলেন? তৃণমূলের দাবি, শোনা গিয়েছে এর মাধ্যমে রাজ্যপালের কাছে কিছু খাম বা উপহার যেত। এর পর সাংসদের দাবি, “যদি প্রমাণ হয় ওই সিকিউরিটির সঙ্গে রাজ্যপালের কোনও সম্পর্ক রয়েছে তাহলে তা দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।” স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল সাংসদের এই দাবি নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতির অন্দরে।
এদিন সুখেন্দুশেখর রায়ের করা মন্তব্যেরই পালটা জবাব দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “মানুষকে বিজেপি বা অন্য দল ছাড়তে হচ্ছে। কারণ তাঁদের সুরক্ষা নেই। সারা দেশ এবং বিদেশেও চর্চার বিষয়। এই সরকারের উপর মানুষের বিশ্বাস চলে গেছে। প্রশাসনের উপর বিশ্বাস চলে গেছে। তাই বিভিন্ন কমিশনে অভিযোগ জানাতে হচ্ছে। বারবার বিভিন্ন কমিশন পশ্চিমবাংলায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসছেন। মিথ্যে কথা বলে নিজের পিঠ বাঁচানো যাবে না। প্রত্যেক জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী, আমলাদের সঙ্গে দেবাঞ্জনকে দেখা গেছে। তিনি কী করতেন তাও জানা গেছে। বিড়াল ঝুলি থেকে বেরিয়ে গেছে। তাই এখন বিজেপিকে টানা হচ্ছে। রাজ্যপালকে টানা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ খুব চিন্তায় পড়েছেন।”
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের অবশ্য কোনও পালটা প্রতিক্রিয়া মেলেনি ঘাস-ফুলের পক্ষ থেকে। তবে তারা এখন দেবাঞ্জন দেবকে নিয়েই বেশি চিন্তিত।