নিজস্ব সংবাদদাতা: জগদীপ ধনকড় নিয়ে এই মুহুর্তে উত্তাল গোটা রাজ্য। দেবাঞ্জনের দেহরক্ষী অরবিন্দ বৈদ্যের রাজ্যপালের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তারপরই এই মামলা যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে। আর এদিন সেই ঘটনার রেশ ধরেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঐ দেহরক্ষীকে। ফলে রাজ্যপালের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন অনেকেই। এমনকি অনেকের মতে, এই মামলার গভীরে জড়িয়েও থাকতে পারেন স্বয়ং রাজ্যপাল। ফলে এই মুহুর্তে ‘দেবাঞ্জন ভ্যাকসিন কান্ড’ যে রাজনীতির আঙিনায় বেশ আলোচ্য বিষয়, তা বলায় যায়।
এদিন সেই প্রসঙ্গে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে দিলীপ ঘোষ মুখ খুললেন। তিনি বলেন, “ওটা একটা সিট গঠন করুক না রাজ্য সরকার। সব ব্যাপারেই তো সিট গঠন করা হয়। রাজ্যপালের ওখানে কে গেছে, কেন গিয়েছে তাই খোঁজ নিক। কত লোকই তো যায়। ওদের লোক গেছে, সরকারি অফিসার যায়। বিভিন্ন পার্টির লোকও যায়। সেই সব বিষয় খুঁজে দেখুন। আর কবেকার ছবি সে ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া উচিত। তবে এব্যাপারে দূর দূর পর্যন্ত বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই”।
এছাড়াও তিনি বলেন, “তৃণমূল কোন লিস্ট দেখাচ্ছে বা তথ্য দিচ্ছে যদি কেউ তা বিশ্বাস করে, তাহলে দেবাঞ্জন এর যা যা লিস্ট ছবি সামনে আসবে তা সব মেনে নিতে হবে। তৃণমূল একটি জালি দল। সাধারণ মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না”।
দিলীপ বাবুর কথায়, “কোন দলের যদি নীতি-আদর্শ না থাকে, তার সামনে কোনো লক্ষ্য না থাকে, কোনও উন্নয়নের ইচ্ছা না থাকে, তাহলে তাদের ভাবনা এই সব নিয়েই থাকে। ১০ বছর কোন ভাবে চালিয়ে দিয়েছে এই সরকার, এখন তাই যা ইচ্ছা তাই করছেন মমতা ব্যানার্জি”।
এদিন দিলীপ ঘোষের গলায় ফের একবার শোনা যায় সারদা মামলা প্রসঙ্গ। তার কথায়, “সারদা উন্নতির আকাশ ছুঁয়েছিল ২০১৩ সালে তাও আবার তৃণমূল জেতার পর। তার মানে সারদা কেস মিথ্যা? না কি নারদা মিথ্যা? চার নেতা মন্ত্রীকে দেখা গেছে টাকা নিতে, তারপরও তারা দোষী নন। অথচ রাজ্যপালকে কিনা একটা ছবিতে দেখা গিয়েছে তাই তিনি নাকি দোষী। সমস্ত বিষয়টা প্রমাণ করা উচিত সরকারের। জগদীপ ধনকড় যে টাকা নিয়েছেন সেটা কোর্টে গিয়ে প্রমান করুক”।
দিলীপ ঘোষের এহেন তির্যক মন্তব্যের পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে পালটা প্রতিক্রিয়া মেলে কিনা এখন সেটাই দেখার।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.