Rajib Ghosh– 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিডিও এসডিও অফিসের সামনে বোমা বন্দুক নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। বিরোধীদের মেরে তাড়িয়ে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামে থাকা বহু মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সভায় এই কথা বললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মেদিনীপুরের পিংলায় বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আহ্বান করেছেন বাংলাকে দিন। সোনার বাংলা গড়বো। 492 বছর পরে অযোধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কোনো রক্তপাত না ঘটিয়ে রাম মন্দির নির্মাণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এর পরেই চুক্তিভিত্তিক চাকরির জন্য টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বামপন্থীরা যে ঋণের বোঝা তৈরি করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ঋণের বোঝা প্রচুর পরিমাণে বাড়িয়ে দিয়েছেন। রাজ্যে দুই কোটি বেকার। এসএসসি শিক্ষা মিত্ররা আন্দোলন করছে। সারা রাজ্যে কোথাও চাকরি নেই। উনি বলছেন দেড় থেকে দু’কোটি চাকরি দিয়েছেন। কেউ কি পেয়েছেন? যদি কেউ পেয়ে থাকেন প্রাণীমিত্র। পনেরশো টাকা বেতন যেখানে চালের কুইন্টাল সাড়ে তিন হাজার টাকা। সিভিক ভলেন্টিয়ার দের সামান্য বেতন দেওয়া হয়। ভোট আসলে এক হাজার টাকা করে বাড়ানো হয়। ওদের বিজেপি আসার ভয় দেখানো হয়। এরপরেই শুভেন্দু বলেন, বিজেপি আসলে সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ প্রত্যেকের সঠিক বেতন দেওয়া হবে। যাতে তারা ভালো ভাবে জীবন যাপন করতে পারে। বিজেপি কাউকে তাড়ানোর নীতিতে নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প সম্বন্ধে বিস্তারিত ভাবে বলেন তিনি। রাজ্য সরকার 2000 কোটি টাকা সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়েছে। জোর করে অর্ডার করিয়ে আমার আপনার টাকা ঐ সমবায় ব্যাংকের রয়েছে সেই টাকা নিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। ঋণ শোধ করবে না। সমস্ত উন্নয়নমুখী কার্যকলাপ কেন্দ্রীয় সরকারের। এদিন পিংলার দলীয় সভায় থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী।