নিজস্ব সংবাদদাতা: ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে ফের সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি কলকাতা পৌর ভোটের দিনক্ষণ ঠিক হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, “অনেককিছু পাল্টাচ্ছে এটাও পাল্টাচ্ছে। টিএমসির কাছে এটা একটা কম্পেলসেন যেকোন ভাবে জিততে হবে। সেজন্য এদিকে কোর্টে কেস হচ্ছে হিয়ারিং হচ্ছে আর ইলেকশন কমিশনকে দিয়ে দিনক্ষণ ঘোষণা করানো হচ্ছে। রাজ্য ইলেকশন কমিশন তো রাজ্য সরকার চালায় সেইজন্য তাদের ইচ্ছামতো হচ্ছে যেটা চাইছেন ওটা হচ্ছে। যখন চাইছেন তখন হচ্ছে। এটা নিয়ে সবাই চিন্তিত তাহলে কোর্ট কাছাড়ির প্রশ্ন কি থাকল। গতবার বাই ইলেকশনে অর্ধেক কেন হচ্ছে সেটা নিয়ে অনেকে কোর্টে গেছেন। কোর্ট বলল ঘোষণা হয়ে গেছে আমাদের কিছু করার নেই। এখন ইলেকশন ঘোষণার আগে কোর্টে গেছেন কিন্তু হেয়ারিং ডেট ঘোষণা হতে হতে দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেল। এমনকি এতো তাড়াহুড়ো যে রিপলিংয়ের জন্য হয়ত সময় রাখা হয়নি। কাউন্টিং করে রাতারাতি গুটিয়ে ফেলতে হবে”।
এই বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যারা লড়ছেন তারা যাবেন। কোর্ট কি বলে কলকাতায় আছেন সেখানে বক্তব্য রাখবেন সমস্ত পক্ষের লোকেরা। তারা ডিসিশন নেবে। কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে যেভাবে ট্রেন্ড যাচ্ছে টিএমসি যেটা চাইছে সেটাই করবে”।
ত্রিপুরার নির্বাচন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পশ্চিমবাংলায় কোনো ভোট শান্তিতে হয় না আর হবেও না। এটাই পলিটিক্যাল কালচার হয়ে গিয়েছে। যারা ত্রিপুরা ইলেকশন হাহুতাশ করছেন আর এখানে পঞ্চায়েত ভোটে ডজন ডজন লোক মারা যায়। ওখানে কারো মুখে একটু চোট লেগেছে কোথায় পড়ে গিয়েছে কি হয়েছে কেউ জানে না। এতোদিন সন্ত্রাস বলে চালাতেন কোথাও সন্ত্রাস নেই। আপনারা গিয়ে কেউ বলেছেন খেলা হবে আপনাকে কেউ বলেছেন খেলা হবে, আপনারা মাইক বাজাচ্ছেন সেখানে কেউ মাইক বাজিয়েছেন সেটাকে সন্ত্রাস বলছেন কেন। দুজন মিলে বাড়িতে দৌড়াদৌড়ি করছেন সেটা দেখিয়েছেন। একটা ফেক ভিডিও দেখানো হয়েছে। কোথায় সন্ত্রাস। কে কাকে সন্ত্রাস করেছে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তারাই চিৎকার করছে আর ভিডিও করা হয়েছে এভাবে একটা হাইপ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। মনে হচ্ছে টিএমসি আছে আর কোনো পার্টি নেই যারা ক্যান্ডিডেট দিতে পারেনি। ওখানকার লোক যেটা জবাব দিয়েছে সেটা মানতে হবে। এখান থেকে সন্ত্রাস বয়ে নিয়ে গিয়ে মিডিয়ায় গরম করে রাজনীতি করা আমার মনে হয় সবজায়গায় সফল হবে না। পশ্চিমবাংলায় সবাইকে বাধ্য করা হচ্ছে তাদের রাস্তায় যেতে”।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.