Rajib Ghosh–. দিদিকে বলোতে ফোন করে কোনো কাজ হয়নি। দুয়ারে সরকারে জানানো হয়েছে কোনো কাজ হয়নি। তার পরেই আমি বাধ্য হয়ে মুখ খুলেছি। এই অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের হুগলি জেলার Spokesperson এবং MLA প্রবীর ঘোষাল। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের একজন বিধায়ক এবং জেলা স্তরের নেতা দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। এর আগে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক এবং বিভিন্ন স্তরের নেতা, জনপ্রতিনিধিরা দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে গেরুয়া শিবিরে গিয়ে যোগদান করেন। আবার কেউ দলের মধ্যেই কোনো কারনে থেকে যান। তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব কে প্রায় প্রতিদিন Damage Control করতে’ নামতে হচ্ছে। এবার সেই তালিকায় নাম উঠে এলো হুগলি জেলার তৃণমূলের মুখপাত্র প্রবীর ঘোষালের। তার অভিযোগ, কোন্নগর স্টেশন থেকে দিল্লি রোডের সংযোগকারী রাস্তা এক বছর ধরে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা রয়েছে এই রাস্তার একটি অংশের। দিদিকে বলোতে ফোন করা হয়েছে কোনো কাজ হয়নি। দুয়ারে সরকারে জানানো হয়েছে কোনো কাজ হয়নি। তার পরে বাধ্য হয়ে মুখ খুলেছি। এই প্রসঙ্গে দলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার। KMDA-র ইঞ্জিনিয়ার কে তৃণমূলের একজন পঞ্চায়েত প্রধান গালিগালাজ করে। সেই প্রকল্পের ব্যাপারে উদ্যোগী হলে তাকে ভর্ৎসনা করা হয় বলে জানান প্রবীর ঘোষাল। Panchayat Prodhan যার বিরুদ্ধে প্রবীর ঘোষালের অভিযোগ, সেই আচ্ছেলাল যাদব বলেন, গত ৫ বছরে বিধায়ক তহবিল এর ১ টাকাও খরচ করেন নি। উনি আলংকারিক বিধায়ক। আলমারিতে সাজিয়ে রাখার জন্য। মানুষের জন্য কোনো কাজ করেননি। প্রবীর ঘোষালের বক্তব্য, দলের মুখপাত্র আমি। দলের অনেকেই জানিয়েছে ভোটে হারিয়ে দেওয়া হবে আপনাকে তাই এই কাজটি করা হচ্ছে না। তাই আমি লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে মুখ খুলেছি। Prabir Ghoshal বিধায়ক এবং হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র। ফলে দলের মুখপাত্র দিদিকে বলো এবং দুয়ারে সরকারের মতো কর্মসূচি নিয়ে অভিযোগ করায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল।