নিজস্ব সংবাদদাতা: এবার ত্রিপুরা ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশে দাঁড়ালেন বিপ্লব দেবের সরকারের। মঙ্গলবার তিনি প্রশ্ন করলেন, “গণতন্দ্রের মানে কি জামা-কাপড় না পরেই রাস্তায় বেরনোর অনুমতি?” বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সরকারকে।
একুশের নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর তৃণমূলের নজরে ত্রিপুরা। সেখানে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টায় বিন্দু মাত্র খামতি রাখতে নারাজ ‘দিদির সৈনিক’রা। আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও পিছু হটতে রাজি নন তাঁরা। লাগাতার আক্রমণ নিয়ে ত্রিপুরা সরকারকে তুলোধোনাও করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ করেছে, ত্রিপুরায় গণতন্ত্র নেই। মঙ্গলবার শহিদ সম্মান যাত্রা শুরুর আগে সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “নিজের রাজ্য ছেড়ে এখন ত্রিপুরা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল। সেখানে নিয়ে অশান্তি করছে। বিপ্লব দেব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। তা সত্ত্বেও লাগাতার বিজেপিকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি তো বুঝতেই পারছি না গণতন্দ্রের অর্থ ওনাদের কাছে কী। গণতন্ত্র মানে জামা-কাপড় না পরেই রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো?” বিজেপি নেতার এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই উসকে দিয়েছে বিতর্ক।
সোমবার কলকাতার কর্মসূচি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের। সেই প্রসঙ্গেও তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন মেদিনীপুরের সাংসদ।
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই ত্রিপুরায় কর্মসূচিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্যরা। গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল তাঁদের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ত্রিপুরায়। পরবর্তী দোলা সেন, তাঁর আপ্ত-সহায়ক ও অপরূপা পোদ্দারও আক্রান্ত হন। লাগাতার এই আক্রমণ নিয়ে ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।