নন্দীগ্রাম শুধু একটি বিধানসভা কেন্দ্র নয়। বাংলার 11 বছরের পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা শেষ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেত্রী এবং তার ভাইপো এইখানে সব। বাকি সবাই ল্যাম্পপোস্ট। তাই রাজ্যকে উদ্ধারের কাজে নেমেছি। এই কথা বললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু হলদিয়ার মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে মনোনয়ন জমা দেন। সকাল ন’টায় তিনি সোনাচূড়ার সিংহবাহিনীর মন্দিরে পুজো দেন। তারপর সেখান থেকে যান জানকীনাথ মন্দিরে। সেখানে যজ্ঞ করেন তিনি। তারপর শুভেন্দু হলদিয়া মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। তার সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং স্মৃতি ইরানি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, রাজ্যে 2 মের পর বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসছে। শুভেন্দু অধিকারীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য হলদিয়ায় বিজেপির বহু কর্মী-সমর্থক হাজির হয়েছিলেন। শুভেন্দু বলেন, কেন্দ্র pm-kisan নিধি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নাম লেখা রয়েছে সেই কারণে রাজ্য সরকার সেটা চালু করতে দেয়নি। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বাংলায় বলে সকলকে চমকে দেন। তিনি বলেন, বাংলায় দুর্গা ঠাকুর বিসর্জন দিতে দেওয়া হচ্ছে না। আর উনি চন্ডী পাঠ করছেন। দিদি বলছো খেলা হবে। তুমি তো খেলাই করেছ। বাংলার সঙ্গে খেলা করেছ। মানুষের জীবনের সঙ্গে খেলা করেছ। মহিলাদের সম্মান নিয়ে খেলা করেছো। খেলা করেই কি ভবানীপুর ছেড়েছ দিদি? মমতার উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এদিন শুভেন্দু রাজ্যের চিটফান্ড দুর্নীতি নিয়ে বলেন, রাজ্যের তিন কোটি মানুষ চিটফান্ডের টাকা হারিয়েছেন। সারদা রোজভ্যালি রাজ্যের মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে চিটফান্ড প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। বাংলাকে দেউলিয়া করেছে এই সরকার। বেকারদের কর্মসংস্থান তো দুরের কথা বেকারি আরো বেড়েছে। এই সরকারকে হঠাতে হবে। এরপর আয়ুষ্মান ভারত এবং স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, কেন্দ্রের কার্ড চালু করতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যের হেলথ কার্ড এর সুবিধা পেয়েছেন এমন কোনো লোক আছে? শুভেন্দু আরও বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে কমিউনিষ্টদের আগে লড়াই ছিল। তারপর কমিউনিস্টদের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই ছিল। আর এখন ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে সবার লড়াই। নন্দীগ্রামে তৃণমূল সিপিএমের প্রার্থী ঠিক করে দিয়েছে। প্রথমে আইএসএফ নন্দীগ্রামে প্রার্থী দেবে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু পরে জানা যায় সেখানে তারা নয় সিপিএম প্রার্থী দেবে। সিপিএমের যুব সংগঠনের নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় কে নন্দীগ্রামে প্রার্থী করা হয়েছে। এখানে কোনো সংখ্যালঘুকে সিপিএম দাঁড় করায় নি। অনেকের মতে সংখ্যালঘু’ প্রার্থী দিলে তৃণমূলের ভোটে ভাগ বসাতো। তাই বোঝাপড়া হয়ে থাকতে পারে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ত্বহা সিদ্দিকী রয়েছেন তৃণমূলের মঞ্চে। আর সিপিএমের মঞ্চে রয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী। কিন্তু আমাদের মঞ্চে কেউ নেই। এদিন তিনি তৃণমূল সরকার কে আক্রমণ করে বক্তব্য রাখেন।