নিজস্ব সংবাদদাতা: কিছুদিন আগেই বিজেপির শহিদ সম্মান যাত্রাকে ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ে কলকাতার বুকে। শহিদ সম্মানযাত্রার প্রথম দিনই গ্রেপ্তার হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয় বলেও খবর। বিজেপি দাবি করে শহিদ সম্মান যাত্রাতে বাধা দেয় পুলিশ এবং জোরপূর্বক গ্রেপ্তার করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।
ফের একবার সেই দাবিকেই সত্য বলে দাবি করলেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। এদিন নেত্রীর মুখোমুখি হয় ‘ক্যাম্পেইন কলিং’। তার একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে আসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই।
বিশিষ্ট আইনজীবী শান্তনু ঠাকুরের গ্রেপ্তারের বিষয়ে দাবি করেন, “এখানে মুখ্যমন্ত্রীর রাজ চলছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেই সুর তুলবে সেই দোষী হয়ে যাবে তৃণমূল নেত্রীর নজরে। তাই তো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বিনা কোনও ধারায় গ্রেপ্তার করা যায়। আমি এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছি লোকসভা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রালয়ে। নিশ্চয় এই ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্র”।
একই সাথে এদিন সজল ঘোষের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গেও কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, “এটা সজল ঘোষ বলে নয়, যদি আজ ওনার জায়গায় আমিও থাকতাম তাহলে তৃণমূল সরকার আমাকেও জেলে টেনে নিয়ে যেত। এই রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেই যাবে, সেই এই ধরনের শাস্তির মুখে পড়বে”।
রাজ্যের গণতন্ত্র বিপন্ন নিয়ে এদিন বিজেপি নেত্রীও দাবি করেন। তাঁর কথায়, “ত্রিপুরায় গণতন্ত্র সামলানোর আগে পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র সামলান। আর গণতন্ত্রের বয়ান কি জানা আছে, তাহলে সেটা মেনে চলুন”।
“ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে মামলা চলছে, সেই মামলার রায় খুব তাড়াতাড়ি হাতে চলে আসবে। তখন জানা যাবে, দেশের আইন কারপক্ষে আছে”, এদিন কার্যত এই ভাবেই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করলেন বিশিষ্ট আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল।