এই শহর সিটি অফ জয়। কলকাতা হবে সিটি অফ ফিউচার। কলকাতায় পরিকাঠামোর উন্নতি হবে। কলকাতাকে ইউনেস্কো হেরিটেজ সিটি করবেন বলে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কলকাতার সংলগ্ন কয়েকটি জেলায় ভোট গ্রহণ রয়েছে। নির্বাচনী আবহে এদিন কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে কলকাতাকে দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, কলকাতা হবে দেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী। শহরের সব গলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য কমবে। অমিত শাহ আরো বলেন, উনি সংখ্যালঘু ভোট হারাচ্ছেন। নইলে এই আবেদন করবেন কেন। হারের কারণ বিশ্লেষণ করুন। আপনার বিরুদ্ধে কেন বাংলার জনতা জোট বাঁধছে। কারণ আইন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কলকাতার বাঙালিরা উদ্বিগ্ন। মহিলারা নিরাপদ নয়। মহিলা ঘটিত অপরাধে বাংলার অবনতি হয়েছে। তোলাবাজি সিন্ডিকেট এবং দুর্নীতি সীমা ছাড়িয়েছে। মোদী সরকারের জনকল্যাণ প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন না মমতা অভিযোগ করেন তিনি। এক নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের একজোট হয়ে তৃণমূলকে ভোট দিতে বলেন। সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এর ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। অমিত শাহ বলেন, আমাদের কর্মীদের উপর লাগাতার হামলা হচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মীদের উপরে হামলা হলে সকলে নিন্দা করে। কিন্তু তৃণমূল করেনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলার নির্দেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একটা দলের নেত্রীর মুখে এরকম কথা রাজনৈতিক জীবনে শুনিনি। তৃণমূলের আচরণে ওদের হতাশা ফুটে উঠছে। এদিন শুরুতে রাজ্যবাসীকে বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানান অমিত শাহ।
