নিজস্ব সংবাদদাতা: সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা ভোটের পর পাল্টেছে সার্বিক চিত্র। যে জায়গা একসময় ছিল বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, সেই জায়গায় আজ বিজেপির কাছে দুর্বল স্থান হিসেবে পরিচিত। একাধিক রাজ্যস্তরীয় নেতা, বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় নেতারা বেসুরো হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহল তথা বিজেপির একসময়ের আঁতুড়ঘর গোপীবল্লভপুরে সংগঠন ধরে রাখাই এখন রাজ্য বিজেপির নেতাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাই বিজেপি কর্মীদের ভোট পরবর্তী সময়ে মনোবল বৃদ্ধি করতে বুধবার এই প্রথম গোপীবল্লভপুর সফর করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “বিজেপিকে ভেঙে দেওয়া অত সোজা নয়”। এদিন বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতির পদ ছাড়েন সৌমিত্র খাঁ। তিনি ফেসবুক পোস্টে তাঁর ইস্তফার কথা জানান। যার প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ বলেন,”আমার কাছে সৌমিত্র খাঁর কোনও পদত্যাগপত্র আসেনি। এলে বলব”।
ভোট পরবর্তী হিংসায় দলের কর্মীদের পাশে নেতারা দাঁড়ায়নি বলে অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এদিন সেই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যেখানে গন্ডগোল হচ্ছে। দলের নেতারা যাচ্ছেন। গিয়ে দেখা যাচ্ছে সেখানে পুলিশি অত্যাচার চলছে। গুণ্ডাদের অত্যাচার চলছে। তার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করছি। সংগ্রাম করছি”। কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এখনও কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা অন্য দলে যোগ দেয়নি। তাঁদের ভয় দেখাচ্ছে। কেস দিচ্ছে। তবুও আমরা আমাদের কর্মীদের ধরে রেখেছি। বিজেপিকে ভাঙা অত সোজা নয়”।
এদিন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে বিজেপির সহ সভানেত্রী ভারতী ঘোষ ,ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি তুফান মাহাতো, সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব।