Rajib Ghosh– কেশপুরে গত বছরে এসেছিলাম। কাউকে এখানে দলের ঝান্ডা বাঁধতে দেয় না। তখন বলেছিলাম কেশপুর কে তৃণমূলের শেষপুর করব। কেশপুর দিয়ে শান্তিতে যাত্রা নিয়ে যেতে পারবো না। তবে বেশি কিছু করলে হাত বেঁধে বসে থাকব না। বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন কেশপুরে রথযাত্রায় যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। BJP-তে শুভেন্দু অধিকারী যোগদান করার পরে এই সংলগ্ন এলাকায় কিছুটা সাংগঠনিক কার্যকলাপ করতে পারছে বিজেপি। কেশপুর কে তাই TMC-র শেষপুর করার ডাক দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এর আগে একইভাবে কেশপুরে CPIM-এর লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বামফ্রন্টের প্রার্থী 1 লাখের বেশি ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে কেশপুরকে সিপিএমের শেষপুর করার ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু তা হয়নি। রাজ্যে 2011 সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন হলেও কেশপুরে সিপিআইএমের সংগঠন শক্তিশালী ছিল। সেই পথেই এদিন দিলীপ ঘোষ কেশপুরকে তৃণমূলের শেষপুর করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক লড়াই তীব্র হচ্ছে। এর আগেও BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পরিবর্তন যাত্রায় কিছু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন। পরিবর্তন যাত্রাকে বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যে পরিবর্তনের লক্ষ্যে সূচনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। BJP-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে এসে এই পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করেন। বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ক্ষমতা দখল বিজেপির একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে পরপর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্য সফরে আসছেন। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা থেকে শুরু করে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্যে এসে বিজেপির সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যোগদান করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় কেশপুরে দাঁড়িয়ে যা বলেছিলেন এদিন দিলীপ ঘোষের সেই একই বক্তব্যের ফলাফল কী হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.