
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পিছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য হলো রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সমাবেশ করতে দেওয়া। এই কথা জানিয়েছে WHO করোনার প্রথম ঢেউ কিছুটা স্তিমিত হয়ে যাওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছুটা লাগামছাড়া মনোভাব দেখা যায়। বেশ কিছু জায়গায় করোনার নিয়মবিধি সেইভাবে তখন মানা হচ্ছিল না। তার মধ্যেই দেশে সাতটি রাজ্যে নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ সমস্ত নেতারাই বৃহৎ মাপের জনসভা করেন। একই দোষ বিরোধী শিবিরের। করোনার এই পরিস্থিতিতে কুম্ভ মেলার মত ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পূজা-অর্চনা এবং অন্য ধর্মীয় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতের পরিস্থিতি এইরকম। ল্যানসেট এবং নেচার পত্রিকার পর WHO-র পক্ষ থেকে ভারতে করোনা পরিস্থিতির জন্য অনেকগুলো কারণের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সমাবেশ কেই বলা হয়েছে।