Rajib Ghosh– 2011 সালে ব্রিগেডে সিপিএমের ঐতিহাসিক সমাবেশ হয়েছিল। তার পরিণাম কি হয়েছিল সকলেই জানেন। তারপরে একাধিকবার ব্রিগেড সমাবেশ হয়েছে। ধীরে ধীরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে এই কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ব্রিগেডে বাম কংগ্রেস জোটের সমাবেশে আব্বাস সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন। সিপিএমের হয়ে সমর্থনের কথা জানালেও স্পষ্ট করে কংগ্রেসের কথা তিনি বলেন নি। সেই প্রসঙ্গে জোটের ভিতরে চর্চা শুরু হয়েছে। এদিন ব্রিগেডের সমাবেশ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, তবে কালকের বৈশিষ্ট্য হলো কমরেড অধীর চৌধুরী আর জনাব বিমান বসুর নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ জোট ছিল সেই খিচুড়ি টায় সবচেয়ে বড় নেতা ছিলেন আব্বাস সিদ্দিকী। মনে পড়ছে 46 এর আগে দেশভাগের ইতিহাসে এই ধরনের সাম্প্রদায়িক জোট হয়েছিল। তার পরিণামে লক্ষ লক্ষ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বাংলাদেশ তৈরী করার চেষ্টা করেছিলেন এরাও সেটাই করছে। তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে কত তাড়াতাড়ি গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরি করা যায়। সম্প্রতি পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর আগে অনেকবার বেড়েছে কমেছে। সরকার সতর্ক আছে। কিছু একটা ব্যবস্থা হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ফলাফল দেখা গিয়েছে অনেক আসন কমে গেছে। শাসক দলে থাকলে তাড়াতাড়ি করে দেওয়া যায়। তবে তাতে কোনো লাভ হয় না বলেই মনে করেন দিলীপ ঘোষ। এরপরে কাদাপাড়ায় বিজেপির ট‍্যাবলোর ওর উপরে হামলা, বৃদ্ধা মহিলার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লজ্জিত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। তার কথায় টিএমসি তে যে যত বেশি দিন জেলে থেকেছে সে তত বড় নেতা। বিজেপিতে অনেকেই এসেছেন। যারা এতদিন গুরুত্ব পেতেন না তারা এখন নেতা। ব্রিগেডের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, বৃহৎ জনসমাগম হবে সেই ব্রিগেডে। তৃণমূল সম্প্রতি খেলা হবে স্লোগান দিচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছে আবার রাজনাথ সিং ও বলছে। একটা আন্তর্জাতিক স্লোগান। বাংলাদেশে যে নির্বাচন হলো অনেক দল বয়কট করেছিল। সেখানে যারা জিতে ছিলেন তারা এই স্লোগান দিয়েছিলেন। নির্বাচন সম্বন্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। এই শ্লোগান দিয়ে মানুষকে চমকানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে তৃণমূলের সেই দিন নেই যে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট করে নেবে। তৃণমূল থেকে ইতিমধ্যেই অনেক সাংসদ বিধায়ক নেতারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। নির্বাচনের আগে ফের সেই যোগদান হতে পারে বলে জানালেন দিলীপ ঘোষ। তার কথায়, মার্চ মাসের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হবে।