নন্দীগ্রাম দিবসে সোনাচূড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাকে ঘিরে শ্লোগান ওঠে শুভেন্দুকে নন্দীগ্রামে ঢুকতে দেবো না। একুশের নির্বাচনে সবার নজর নন্দীগ্রামে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর প্রচার রাজনৈতিক কর্মসূচি মিটিং-মিছিল সবেতেই কড়া নজর রয়েছে। শুধু নন্দীগ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে 220 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হাফ লাখেরও বেশি ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে লড়াই জমে উঠেছে। তথ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী পূর্ব মেদিনীপুর জেলার 14.59 শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার মধ্যে নন্দীগ্রাম 1 নম্বর ব্লকে মুসলিম জনসংখ্যা 34 শতাংশ। নন্দীগ্রাম 2 নম্বর ব্লকের মুসলিম জনসংখ্যা 12.1 শতাংশ। নন্দীগ্রাম শহরে মুসলিম জনসংখ্যা 40.3 শতাংশ। এর আগে 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে এখান থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের শুভেন্দু অধিকারী জয়লাভ করেছিলেন। তিনি ভোট পেয়েছিলেন 1 লক্ষ 34 হাজার 623 টি ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই প্রার্থী আব্দুল কবীর সেখ 53393টি ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপি প্রার্থী বিজন কুমার দাস 10713 টি ভোট পেয়েছিলেন। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে তৃণমূল প্রার্থী দিব্যেন্দু অধিকারি 1 লক্ষ 30 হাজার 659 টি ভোট পান। তিনি জয়লাভ করেন। বিজেপি প্রার্থী সিদ্ধার্থ শংকর রায় 62 হাজার 268 টি ভোট পান। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক ময়দান সরগরম হয়ে উঠেছে। শুভেন্দু অধিকারী একাধিক রাজনৈতিক সভায় হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে বক্তব্য রাখছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে এসে তিনিও হিন্দুত্বের পক্ষে বক্তব্য রাখছেন। তবে তিনি সর্বধর্মের পক্ষে কথা বলেন। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করা হয়। এদিন নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যারা গত বছর আসেননি আগামী বছর আসবেন না তারা আজ মাইক বাজাচ্ছেন। শহীদ পরিবারের কাছে আমি দায়বদ্ধ। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিশানা করে বলেন, যে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় গোকুলনগরে গুলি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে তৃণমূলে নিয়েছেন। নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো হবে। আমি ভোট দিতে যাব। আপনারাও নিজেরাই ভোট দেবেন। এবার আপনারা নতুন ভোট দেখবেন। নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় মিছিল করেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই জোরদার হয়ে উঠছে।