বাংলায় দিদি যতক্ষণ আছেন ততক্ষণ মতুয়া এবং নমঃশূদ্ররা নাগরিকত্ব পাবেন না। 2 মে আপনার বিদায় নিশ্চিত। তারপর মতুয়া এবং নমঃশূদ্ররা নাগরিকত্ব পাবে। যারা এতদিন এখানে বসবাস করছে তারা নাগরিকত্ব পাবে না? কারণ আপনার ভোটব্যাঙ্কের মানুষদের আপত্তি আছে বলে। আমরা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করিনা। ক্ষমতায় এলেই ওদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এই কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন তিনি তেহটটো নির্বাচনী সভা থেকে বক্তব্য রাখেন। অমিত শাহ বলেন, যেসব শরণার্থী নাগরিকত্ব পাবেন তাদের জন্য 100 কোটি টাকার একটি তহবিল তৈরি করা হবে। মতুয়া ও নমঃশূদ্র দের জন্যই টাকা খরচ করা হবে। মতুয়া দলপতিদের মাসিক 3000 টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে। মতুয়া নমঃশূদ্র বিকাশ বোর্ড গঠন করা হবে। সরকার ঘটনার পরেই ঠাকুরনগর স্টেশন এর নাম শ্রীধাম ঠাকুরনগর করা হবে। ঠাকুরনগর তীর্থ ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের ধামকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এখানে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় পুলিশ গুলি চালিয়েছিল। এখানে দুর্গাপুজোর জন্য পুলিশের অনুমতি চাইতে হয়। এবার আর তা হবে না।কোর্টে কাউকে যেতে হবে না। সরস্বতী পূজা দিদির গুন্ডারা রুখে দেয়। বিজেপি সরকার তৈরি করে দিন। কারো ক্ষমতা নেই সরস্বতী পুজো রুখে দেবে। উনি বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করো। আপনাদের বলছি 22 তারিখ নির্ভয় ভোট দিতে যান। মানুষ জাগলে গুন্ডারা পালিয়ে যায়। এখন বাংলার মানুষ জেগেছে। দিন বদলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে পারবে না। ওদের ভোটব্যাঙ্ক হলো অনুপ্রবেশকারীরাই। বিজেপি একমাত্র এই কাজ করতে পারে। রাজ্যে বিজেপির সরকার গড়ে দিন। এদিনের সভা থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করে এই কথা বলেন অমিত শাহ।