Rajib Ghosh– কাল সকালে ছিল ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল এখন চারিদিকে পদ্মফুল। এক চা চক্রে যোগদান করে এই ভাবেই বক্তব্য শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যে জায়গায় তিনি চা-চক্রের অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন সেখানে বাংলাদেশ থেকে আগত মানুষেরা কিভাবে ফাঁকা মাঠের মধ্যে নিজের বসবাসের জন্য ঝুপড়ির মধ্যে থাকতে হয়েছে। কারণ ওই দেশে মা বোনেদের সম্মান রক্ষা করা যায়নি। নিজের ধর্মকে সুরক্ষিত রাখতে পারেনি। জমি জায়গা ছেড়ে এপার বাংলায় উদ্বাস্তু হয়ে আসতে হয়েছে সেই কথা মনে করান দিলীপ। তিনি আরো বলেন, নাগরিকত্ব বিল এর বিরোধিতা করল Congress, CPIM এবং TMC উদ্বাস্তু মানুষগুলোকে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য এরা বিরোধিতা করছে। তিনি যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির বাইরে থেকে উদ্বাস্তুদের বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করেছেন বসবাস করেছেন সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন Dilip সভায় বক্তৃতার পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওদের পার্টিতে এরকম নমুনা প্রচুর আছে। CM মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভাষায় কথা বলছেন? ঝাড় তো একটাই শুধু বাঁশ আলাদা। সেটা মানুষ এখন বুঝতে পারছে। TMC MP কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় BJP-র উদ্দেশ্যে যে ভাষায় কথা বলেছেন সেই প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। দিলীপের কথায়, যারা বাংলার সংস্কৃতিকে ঠিকা নিয়েছে তাদের কি ভাষা? আমরা নাকি বাংলার সংস্কৃতি বুঝিনা। যারা এটা বুঝেছেন বাংলার মানুষ ভাবুন কাদের ক্ষমতায় এনেছেন। ওই দলে কোনো ভদ্রলোক থাকতে পারেনা। যারা ভদ্রলোক ছিলেন তারা TMC ছেড়ে চলে আসছেন। যখন তারা BJP-তে আসছেন তখন তাদের উদ্দেশ্যে খারাপ ভাষা ব্যবহার করা হচ্ছে। মানুষ সিদ্ধান্ত নিন এদের কি করা উচিত? এরপরে যুব তৃণমূল সভাপতি এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ ওদের যোগ্যতা ক্ষমতা জেনেছে। ওদের আর ভয় পায় না। এগুলো ভয়ের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে। যারা সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করেছে তাদের দিন শেষ হয়েছে। আজ মুসলিম সমাজের অধিকার আছে দেশের উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের অধিকার পাওয়ার। দিলীপ ঘোষের যতটা অধিকার আছে একজন মুসলিম, খ্রিস্টান যেকোনো মানুষের সেই সমান অধিকার আছে। এটা BJP মনে করে। এরপরে কলকাতায় নারী-নিগ্রহ নিয়ে অভিযোগ করেন তিনি।