Rajib Ghosh– কয়েকদিন আগে এখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এসেছিলেন। তিনি অনেক বড় নেতা। দুদিকে টেলিপ্রম্পটার রেখে বক্তৃতা করেন। সেটা আমি করিনা। প্রধানমন্ত্রী বলছেন মা-বোনেরা নাকি সুরক্ষিত নয়। বিজেপিতে কি মা-বোনেরা সুরক্ষিত? দলীয় সভায় প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলির সাহাগঞ্জের এই মাঠেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জনসভা করেছেন। সেই জনসভা থেকে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন মোদি। রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে তার বক্তব্য রাখেন। এদিন তৃণমূলের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রসঙ্গে বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন। তারকেশ্বর লাইন,মেট্রো সম্প্রসারণ সব আমি করেছি। মানুষ দেখেছে কে করল কে ফিতে কাটল কে দালালি করল? কথায় কথায় বলেন তৃণমূল কংগ্রেস তোলাবাজ। তাহলে আপনি তো সব থেকে বড় দাঙ্গাবাজ। যারা 5 টাকা 10 টাকা তোলে তাদের বলে তোলাবাজ। আর যারা দেশকে বেচে দেয় তাদের কি বলা হবে? গরিব লোকেরা খেলে হয় কাটমানি আর কোটিপতিরা খেলে হয় র‍্যাটমানি। এরপরেই কয়লা কাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার ঘরে ঢুকে একটা বাচ্চা মেয়ে 22 ,23 বছর বয়স, একটা বউ তাকে কয়লা চোর বলছেন। আর কয়লা চোরদের নিজের কোলে তুলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তোমার সারা গায়ে ময়লা। নোট বন্দির ময়লা। আমার বাড়ির মা-বোনেরা কয়লা চোর বলছে। কোল ইন্ডিয়া বিক্রি হচ্ছে কেন নরেন্দ্র মোদী জবাব দাও। দেশে এখন দুটো নেতা একটা নেতা হলেন হোঁদল কুতকুত আরেকটা নেতা হলেন কিম্ভূতকিমাকার কটাক্ষ করে বললেন মমতা। এদিনের সভায় থেকে বিজেপির উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা আরো বলেন, আমাকে ধমকানোর চেষ্টা করছে। কিচ্ছু হবেনা। কজনকে গ্রেফতার করবে? ধামসা মাদল থেকে বেরিয়ে আসবে। এসো খেলা হবে। মনে রাখবে সুস্থ বাঘের থেকে আহত ভাগ ভয়ঙ্কর। আমরা হিংস্র নয়। কিন্তু আমরা কুদো বাঘ নয়। এখানে বিজেপির জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়নি বলে অভিযোগ করেন। সেই প্রসঙ্গে মমতার বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদি মিথ্যা বলছেন। বাংলা দারিদ্র দূরীকরণে এক নম্বর। দেড় কোটি দুই কোটি লোককে চাকরি দিয়েছি। ফাইভ স্টার হোটেলে ঘুমোচ্ছে সেখান থেকে রান্না করে নিয়ে গিয়ে গরীবের ঘরে বলছে থালা দাও ছবি তুলবো বসে একটু খাব। এরকম ভাওতাবাজি মিথ্যেবাদী প্রতিহিংসাপরায়ন পার্টি কোথাও নেই। কিছু না করে শুধু মিথ্যে বলে যাচ্ছেন। বলছেন বাংলা লে লেঙ্গে। হুগলিতে একটা আসন পেয়ে নেচে বেড়াচ্ছে। হুগলির প্রতিটি আসনে তৃণমূল জিতবে। এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও খেলা হবে বক্তব্য শোনা যায়। মমতা বলেন, খেলা হবে। আমি থাকবো গোলরক্ষক। খেলাতেই ঠিক হবে বিজেপি দেশে থাকবে কি থাকবে না। একজন রাবণ অন্যজন দানব। দুটোতে মিলে দেশ চালাচ্ছে। এরপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভায় মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাকে বাঁচতে দিন। এদিনের সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।