Rajib Ghosh– বাম কংগ্রেস জোটের মধ্যে আসনের ব্যাপারে আলোচনা ছিল। সেটা হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট চলে এসেছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে কথা বলবেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। এবারের নির্বাচনে বাম কংগ্রেসের জোট আগের তুলনায় নিজেরা একাধিকবার আলোচনার মাধ্যমে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছে। এর আগেও বাম কংগ্রেসের মধ্যে নির্বাচনী জোট হলেও সেই অর্থে বিভিন্ন কারণে শক্তিশালী জোটের চেহারা দেখা যায় নি। কিন্তু এবার বেশ কিছুদিন ধরেই বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব চেষ্টা করছেন যাতে তাদের এই জোট আগের তুলনায় অনেকটা ফলপ্রসূ হয়।সেই লক্ষ্যে তারা একাধিকবার নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছেন। বাম কংগ্রেস নেতৃত্বের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বাম আর কংগ্রেসের মধ্যে আসন রফা হয়ে গেছে। কিন্তু সংখ্যা ঘোষণা করা হচ্ছে না। কারণ এই আলোচনা চলতে চলতে আব্বাস সিদ্দিকীর দলসহ বেশকিছু দল তাদের জোটে শামিল হতে চেয়েছে। সেই কারণেই এদিন সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, বাম কংগ্রেসের জোট এর মধ্যে আলোচনা চলতে চলতে কিছু পলিটিক‍্যাল ডেভলপমেন্ট হয়েছে। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট, আরজেডি, এনসিপি’র মত বেশকিছু দল জোটের প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে। তাই বাম কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সংখ্যা বলা হচ্ছে না। তাতে ভুল বার্তা যেতে পারে। তবে এদিন তিনি শরদ পাওয়ারের দল এনসিপির কথা বলেছেন। পাওয়ারের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক ভালো। লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেডে যে ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার র‍্যালি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে তেজস্বী যাদব ছিলেন। তবে রাজ্য রাজনীতিতে শাসক তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধী হিসেবে বিজেপির লড়াই শুরু হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি 18 টি আসনে জয়লাভ করার পরে রাজ্যজুড়ে তাদের সংগঠন অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। ফলে তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধী জোট হিসেবে বাম কংগ্রেসের জোট ময়দানে নেমেছে। বাম এবং কংগ্রেসের জোটের পক্ষ থেকে 28 শে ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ সফল করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে অধীর বলেন, বাংলায় তৃনমূল আর বিজেপির মধ্যে দ্বিমুখী’ লড়াই দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। এখন মানুষ বুঝতে পারছেন বাংলায় লড়াই তৃণমূল-বিজেপি আর বাম কংগ্রেসের জোট এর মধ্যে ত্রিমুখী। সেই জায়গা দ্রুত দখল করা হচ্ছে।